মোঃ শামছুল হক, তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি। সিরাজগঞ্জ।
ডিমের দাম কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জে লেয়ার খামারীদের ব্যবসায় ধ্বস নামতে শুরু করেছে। এতে অধিকাংশ খামারী লোকসানের কারণে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
খাদ্য এবং ঔষধের মূল্য না কমলেও ক্রমাগত ডিমের দাম কমতে থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনতে শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ তাড়াশ, শাহজাদপুর, কামারখন্দ বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী,এবং সিরাজগঞ্জ সদরসহ বেশ কিছু এলাকার লেয়ার খামারিরা ডিমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুনতে শুরু করেছেন।
খামারীরা বলছেন, ডিমের আরতদারদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা ডিমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
এদিকে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাচ্চার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে খামারীদের কাছ থেকে কম দামের বাচ্চা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোও খাদ্য তৈরীর কাঁচামাল আমদানির উচ্চমূল্যের অজুহাত দেখিয়ে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করতে থাকে।
আবার ঔষধ কোম্পানীগুলো তাদের রিপ্রেজেন্টেটিভদের মাধ্যমে ঔষধের দোকানদারদের ম্যানেজ করে স্ব-স্ব কোম্পানির কম দামের ঔষধগুলো উচ্চ মূল্যে খামারীর নিকট বিক্রি করে থাকে।
তাছাড়া খামারে রাণীক্ষেত,গামবুরো,বার্ডফ্লু, করাইজা, সালমোনলার মত মুরগী বিধ্বংসী রোগ বালাই লেগেই থাকে।
খামারীরা বলেন," আমাদের কষ্টে উৎপাদিত ডিম বিক্রি করতে গেলেও সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয়।
আমাদের উৎপাদিত ডিম কত টাকায় বিক্রি করবো তা ঠিক করে দেয় সিন্ডিকেট চক্র।"
আবার বাজারদর একটু বাড়লে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে।
ঢাকা সহ সারাদেশের ডিমের আরতদাররা ডিমের বাজার দর বেঁধে দেন।
এতে খামারিদের লাভ-লোকসানের বিষয়ে তারা চিন্তা করেন না।
একাধিক খামারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- ডিমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বেশিরভাগ খামারি তাদের ডিম দৈনিক বিক্রি না করে জমিয়ে রেখেছেন। জানতে চাইলে তারা বলেন, ডিমের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় তারা ডিমগুলো জমিয়ে রেখেছেন। এভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তারা বাজার দর পর্যবেক্ষণ করেন।
এতেও কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়া গেলে তারা কম দামে ডিম বিক্রি করে থাকেন।