শামসুল হক, তাড়াশ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের সলংগায় এবং তাড়াশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি রয়েছে। এতে করে এ এলাকার লোকজনের জমি থাকা সত্বেও না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে সলঙ্গার আগরপুরে এবং খোদ্রশিমলার কয়েক হাজার বিঘা জমি এখনো ৫/৬ ফুট পানির নীচে তলিয়ে আছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এখনও অনাবাদি এ সব জমিতে আগামী ইরি বোরো চাষ করাও সম্ভব হবেনা। সে কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য সবাই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
যত্রতত্র এবং অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে এ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আবাদি জমিতে পুকুর খনন সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও কেউ এ আইন মানছে না। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য উপযুক্ত খাল না থাকায় বেশ কয়েক বছর অনাবাদি রেখে কেউ কেউ পুকুর খননে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারি ভাবে এগুলো দেখভাল না করায় এলাকার কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
একই দৃশ্য দেখা গেছে তাড়াশের সরাপপুর এবং ঝুরঝুরি গ্রামে। সেখানেও হাজার হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি রয়েছে। এ সবএলাকায় জলাবদ্ধতার কারনে জমি লিজ বা বন্ধক রাখতেও কেউ রাজি হয়না।
আমাদের মত কৃষি প্রধান দেশের আবাদি জমি এ ভাবে পতিত থাকলে এক সময় খাদ্য সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করবে এবং এ দেশ আমদানি নির্ভর দেশে পরিনত হবে।