ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্ধশতাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিপ্লব বড়াল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বিল ছোনাওঠা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ছোনাওঠা গ্রামের দিরেন বড়ালের ছেলে বিপ্লব। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম।
তিনি জানান, ছয় মাস আগে বিপ্লবের সঙ্গে খুলনার এক তরুণীর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়, পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিপ্লব তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা করে। সে নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং এনএসআইর কার্ড দেখিয়ে খুলনায় কর্মরত বলে দাবি করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ওই তরুণীর কাছে আর্থিক সহায়তা চায় বিপ্লব। তার প্ররোচনায় গত ২০ অক্টোবর নগরীর হেলাতলা স্বর্ণপট্টি এলাকায় দেখা করে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার দেন ভুক্তভোগী। পরে বিয়ের কথা বললে অস্বীকৃতি জানায় এবং হুমকি দেয় বিপ্লব। এ অবস্থায় ওই তরুণী বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বিপ্লব এনএসআইর কর্মকর্তা নয়। এরপর খুলনা সদর থানায় মামলা করেন তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল আরও জানান, বিপ্লব এনএসআইর ভুয়া কার্ড দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অর্থ আত্মসাৎ করেছে। সে নিজেকে ডিজিএফআই, পুলিশ ও বিসিএস কর্মকর্তা বলেও পরিচয় দিত। এভাবে অর্ধশতাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিপ্লব। ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ স্বর্ণ ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করাই তার মূল পেশা। বিপ্লবের বাবা দিনমজুর। তার পরিবার একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করে।