ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি থেকে সার্ভিস ডেলিভারিতে রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশে দিয়েছেন।
এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর জনবান্ধব এবং স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ‘রেগুলেটর থেকে ফেসিলিটেটর’ এ রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশে দিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা জনবান্ধব এবং স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শতাব্দির প্রাচীন পোস্ট অফিস অ্যাক্ট ১৮৯৮ এবং টেলিকম অ্যাক্ট ২০১০ এর সংশোধন বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা দেন।
দ্য পোস্ট অফিস অ্যাক্ট ১৮৯৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ডাক অধিদপ্তরের ওপর জনগণের আস্থা সুসংহত এবং স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনে গ্রাহকবান্ধব ও স্মার্ট প্রযুক্তিবান্ধব সময়োপযোগী আইন প্রণয়ণের প্রয়োনীয়তা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী কুরিয়ার সার্ভিসকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেইলিং অপারেটর এবং কুরিয়ার সার্ভিসের উন্নয়ন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং তৎসংশ্লিষ্ট আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম আমিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন দপ্তর এবং সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষ আমন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।