মোঃ শামছুল হক,তাড়াশ উপজেলা সংবাদ দাতা,
সিরাজগঞ্জ
১৬ নভেম্বর ২০২৪,
চলনবিল অধ্যুষিত বিশাল এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে শিকারিদের হাতে ধরা পড়া অতিথি পাখি। তাতে বাধা না দিয়ে বরং সেগুলো কিনে শিকারীদের উৎসাহিত করছেন এলাকাবাসী। গ্রীষ্ম প্রধান এলাকা ছেড়ে সাধারণত শীতের মৌসুমে এসব অতিথি পাখি বাংলাদেশের বিলঝিল হাওর ও দীঘিতে আসে খাবার সংগ্রহ করার জন্য। কিন্তু অবাধে শিকারের ফলে এ সব অতিথি পাখি বিলুপ্ত হবে তাতে সন্দেহ নেই।
এরকম অবাধে পাখি শিকার চলছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পাবনার চাটমহর এবং নাটোরের সিংড়া এলাকার চলনবিলে।
কার্তিক মাসের শেষ দিকে হালকা শীতের আমেজে চলনবিলের জলাশয়ে প্রতিবছরের মতো অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। তবে চলনবিল অংশের শিকারিদের হাতে মারা পড়ছে এসব পাখির একটা অংশ। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার বাজারে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,সুস্বাদু মাংসের এ অতিথি পাখি অবাধে বিক্রি হচ্ছে। রাতে শিকারীরা পাখি শিকার করে ভোরে বাজারে নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য।
এগুলোর মধ্যে বালিহাঁস, শামুখ খাওয়ালী, সাদাবক, কানাবক,নলগাগ সহ বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে।
উপজেলার ভিলেজ ভিশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফ খন্দকার ও উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম জানান, দুই দিন আগে সকালে উপজেলার দীঘিসগুনা বাজারে গিয়ে অতিথি পাখি কেনাবেচার দৃশ্য দেখতে পান তাঁরা। তাঁদের মতে, পাখিশিকারি, ক্রেতা, গ্রামের লোকজন একই সঙ্গে অসচেতন ও চালাক। অন্যায় জেনেও তাঁরা এ কাজ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের আহ্বান জানান।
উপজেলা বন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, বেশির ভাগ শিকারি রাতে পাখি শিকার করেন। সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
তাড়াশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, শিকারিদের অবস্থান জেনে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।