নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ক্যাসিনো খেলার সুপার এজেন্ট মতিউর এখন কোটিপতি, সর্বস্বান্ত এলাকার যুবকেরা, যার বাবা ছিলো দিনমজুর পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনেই চলছিল তাদের জীবন তবে তার ভাগ্য ফেরায় অনলাইন ক্যাসিনো। সে উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারি পূর্ব পাড়া গ্রামের মোঃ হাসান প্রমানিকের ছেলে।
ক্যাসিনো খেলার সুপার এজেন্ট মতিউরের রাজকীয় চলাফেরা, করেছেন বাড়ি গাড়ি, রীতিমতো বড় মাপের জুয়ার সুপার এজেন্ট হিসাবে পরিণত হন তিনি।
নিজের বন্ধু, এলাকার যুবক ছেলেদের এমন কি আত্মীয় সজনদের নিয়ে আসেন এই জুয়া খেলায় ।
জানাযায় এলাকায় জুয়ার ফাঁদে লোকজন ভিড়িয়ে সুপার এজেন্ট হয়ে, কয়েন বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে হয়েছে কোটিপতি। তার ভাগ্য ফিরলেও এই জুয়া খেলায় মেতে এখন স্থানীয় অনেক যুবক সর্বস্বান্ত। তিনি গ্লোরি ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত কয়েন বিক্রি করেন।
অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়া ২ জন ভুক্তভোগী যুবকের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। তারা এখন জুয়ায় জড়িত না থাকলেও বিপুল অর্থ হারিয়ে দিশেহারা,পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে পারছেন না তাদের এই করুণ পরিণতির কথা।
এ বিষয়ে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সুপার এজেন্ট মতিউরের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে যায় সাংবাদিকরা, নতুন করা বাড়িতে বসে কথা হয় মতিউর ও তার বাবা মায়ের সাথে, প্রথমে মতিউরের মা বলে আমার ছেলে আগে ক্যাসিনো জুয়া খেলছে, এখন আর খেলে না কে বা কারা এই তথ্য দিয়েছে সব ভুয়া। ক্যাসিনো জুয়ার সুপার এজেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর বলে আমি আগে করছি এখন করি না আমি একটা গাড়ি কিনছি তাছাড়া কিছু করতে পারি নাই, বাড়ি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার নানার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে বাড়ি করছি।
পরে মতিউরের বাবার অর্থ-সম্পদ বিষয়ে জানতে চাইলে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বলেন অর্থ-সম্পদ নাই বললে চলে, শুনছি মতিউর নাকি অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ায় জড়িত। অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায় রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার গল্প জানতে গিয়ে বেরিয়ে আসা নানা তথ্য জানাযায় মতিউর বর্তমানে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করছেন তার এক বন্ধুকে দিয়ে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালে মোহাম্মদ হাসনাত জানান, এই বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।