সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর

  • আপলোড সময় : ৩০ জুন ২০২৪, রাত ৮:১৪ সময়
  • আপডেট সময় : ৩০ জুন ২০২৪, রাত ৮:১৪ সময়
সিরাজগঞ্জের  সলঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর


নিজস্ব প্রতিবেদক 


সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১ টার দিকে সলঙ্গা থানার  দাদপুর গ্রামে এ ভাঙচুর ও হামলার  ঘটনা ঘটে।


জানা যায়, ৫১ শতাংশ বাড়ির জমি নিয়ে দাদপুর গ্রামের কামাল হোসেন গংদের সাথে সানাউল্লাহ আকন্দ গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ জমি নিয়ে দু'পক্ষের আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। এছাড়াও এই বাড়ির জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। 

এছাড়াও আরো  জানা যায় ঐ জমি সানাউল্লাহ আকন্দের  ছেলে ও দাদপুর সাহেবগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিনুর রহমান নিজের দাবি করে বাড়িঘর নির্মান করেছিলেন। রোববার সকালে মামলার বিষয় নিয়ে শাহিনুর ইসলাম ও তার ভাইগণ কোর্টে গেলে প্রতিপক্ষ কামাল হোসেনের লোকজন অতর্কিতভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে সানাউল্লাহ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাঁধা দিতে আসলে তাদের উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, বাড়ির জমি নিয়ে আমার চাচা কামাল হোসেন বিভিন্ন হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এর আগে কোর্টে মামলা করে জমির উপরে ১৪৪ ধারা জারি করে পরে তদন্ত করলে আমাদের সাথে হেরে যায়। এছাড়াও এই জমি নিয়ে রোববার (৩০ জুন) আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল । কিন্তু প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন গংরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সবাই মিলে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমার বাবা ও বোনেরা বাঁধা দিতে  আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়।

এ‌ বিষয়ে শাহিনুর ইসলামের বোন রোকসানা খাতুন বলেন, রোববার সকাল ১১ টার দিকে হঠাৎ করে চাচা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কাসেম, জুয়েল, ময়নাল,আলম, রাসেল,নিয়ামুল, রিপন, ফারহান রুবেলসহ আরো অনেকে  বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করে তখন আমার ভাই ও পরিবারের  সদস্যরা কোর্টে ছিলেন। আমি, আমার বাবা ও ভাবী বাঁধা দিতে গিলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয় ও হামলা করে আহত করে।

বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে কামাল হোসেন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ,আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের জুয়েল হোসেন বলেন, শাহিনুর ইসলাম জোর পূর্বক বাড়িঘর নির্মান করেছিলেন সেগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) এনামুল হক বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুর বিষয় সম্পর্কে আমার  জানা নেই। এ বিষয় নিয়ে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ সংবাদ